কক্সবাজারের দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মনখালী চাকমা পাড়া গ্রামের অভ্যন্তরে পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে পাকা দালান।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে পাহাড় কর্তন কারীদের বিরুদ্ধে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং মনখালী চাকমা পাড়ায় এই পাহাড় গুলো কাটা হচ্ছে।পাহাড়ের চূড়ায় নানা গাছপালাও রয়েছে।কেটে নেওয়া অংশ সমতল করে নির্মিত হচ্ছে পাকা দালান।চার কক্ষের একটি ভবনের দেয়াল আরেকটিতে দুই কক্ষ দালান করা হয়েছে ইতিমধ্যে। সেখানে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে ছয়জন শ্রমিক পাহাড় কেটে পাশের নিচু জায়গায় ফেলছিলেন এবং দেয়াল দেওয়ার কাজ করেছিল।
শ্রমিকরা বলেন, জায়গার মালিক আবুল হাশেমের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার পাহাড় কেটে দালান নির্মাণ করতে তাঁদের নিযুক্ত করেছেন। নতুন দালান তোলার প্রয়োজনেই পাহাড় কাটা হচ্ছে।পাহাড় কাটার অনুমতি আছে কি না এ বিষয়ে তাঁরা জানেন না বলে জানান। কিয়াছা চাকমার ছেলে কেলাইং চাকমা প্রকাশ কেলাইংগ্গা বনবিভাগের সমতল জায়গায় একটি দালান নির্মাণ করতেছে।
যোগাযোগ করা হলে ইয়াছমিন ও তাঁর বাবা আবুল হাশেম বলেন,দালান নির্মাণের কাজেই নিজের পাহাড় কাটছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।
ওই এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, দু–এক দিন পরপর সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত পাহাড়ের মাটি কাটা হয়। পরে ওই মাটি জমি ভরাট করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং রেঞ্জ অফিসার আব্দুল মতিন বলেন, পাহাড় কাটার খবর আমার জানা নেই। পাহাড় কর্তনকারী যতোই প্রভাবশালী হোক ছাড় দেওয়া হবে না। সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।