কিশোরগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপির দায়িত্ব অবহেলা সেবা বঞ্চিত উপকারভোগীরা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দঃ বড়ভিটা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুলতানা বেগম ক্লিনিকে নিয়মিত না বসার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার সকাল সড়ে ১০ টায়, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকে তালা ঝুলছে। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে ওই সিএইচসিপির জন্য। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, এটা তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
সরকারী কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মত চালাচ্ছে ক্লিনিকটি। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন।
আর সেই সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানান সমস্যায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা গর্ভবতী মা ও শিশুদের বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই। চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনায় উপজেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সকাল ৮থেকে দুপুর ১২পর্যন্ত খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সরকারি সেই নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যেন অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। “শেখ হাসিনার অঙ্গীকার কমিউনিটি ক্লিনিক বাচায় প্রাণ ” সেই স্লোগান আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার আজ ভেস্তে যেতে বসেছে।
ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা বড় ডুমুরিয়া ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের আরফিনা বেগম, , আরজু বেগম ও বড় ডুমুরিয়া কামারপাড়া গ্রামের শারমিন আকতার তারা জানান, সি এইচসিপি সুলতানা আপা ক্লিনিকে সময় মত আসেন না। ওনি ক্লিনিকে মাঝে মধ্যে আসলেও অনেক সময় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান।
এ ব্যাপারে ওই ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুলতানা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ক্লিনিকে আসতে দেরি হয়েছে। তিনি দম্ভ করে বলেন, আপনারা সাংবাদিক যত লেখার আছে লেখেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু শফি মাহমুদ (ভারপ্রাপ্ত) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে এর আগেও ওনাকে দু, বার শোকজ করা হয়েছে। আজকের বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন কে অবহিত করা হবে।
কিশোরগঞ্জে নতুন করে আরও এক জনের শরীরোর করোনা পজেটিভ শনাক্ত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও এক জনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
ওই ব্যাক্তি উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে তৈয়ব আলী (৪৫)। তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন পোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ১০মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার নমুনা সংগ্রাহ করে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আজ শুক্রবার ১৫ মে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু শফি মাহমুদ তার শরীরে করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়াটারে আইসোলেসনে আছেন।