রাজশাহী মেডিকের কলেজ হাসপাতালের আউটডোর ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হঠাৎ কমে গেছে। রোগী সংখ্যা কমার কারণ হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে জানা যায এই কারণে ই হাসপাতালে রোগী সংখ্যা দিন দিন কম আসছে। রাজশাহী নগরীর ক্লিনিক পাড়া হিসেবে পরিচিত লক্ষীপুর এলাকা এখন পুরোটাই স্তব্ধ। বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকগুলো বন্ধ। তবে ওষুধের দোকানগুলো খোলা আছে। দোকানগুলোর সামনে ক্রেতাদের চাইতে বিভিন্ন ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিই বেশি ।
তাদেরকে বিভিন্ন ওষুদের দোকানের সামনে জটলা পাকিয়ে দাড়িয়ে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে সকালে রামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন যে আউটডোরে হাজারো রোগী ও তাদের স্বজনদের পদচারণায় ভরপুর থাকতো সেই আউটডোরে ভিড় নেই বললেই চলে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সর্দি,কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীদের আউটডোর ভবনের বাইরে প্যাণ্ডেল করে চিকিৎসকদের পৃথক ইউনিট দিয়ে সেবা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। ভেতরে আউটডোর কাউন্টার ও চিকিৎসকদের চেম্বারের সামনে রোগীর সংখ্যা সামান্য। হাসপাতালের ইমাজেন্সি গেটের সামনে দাড়িয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন যানবাহন বিক্ষিপ্ত ভাবে দাড়িয়ে থাকলেও, মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ইমাজেন্সি হয়ে ওয়ার্ডে প্রবেশের গেটে আগে যেখানে লাইন ধরে ভেতরে প্রবেশ করতে হতো, সেই গেট পুরোটাই ফাঁকা।
চার-পাঁচ জন আনসার ও গেটম্যান প্রবেশ গেটে দাড়িয়ে নিজেরা গল্প করছেন। ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড় কম। মার্চের শুরুতেও ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর চাপে হাসপাতলের বারান্দায় রোগীদের শুয়ে থাকতে দেখা যেতো, এখন সেই বারান্দা ফাঁকা ও আগের তুলনায় পরিস্কার। রা মে ক সূত্রে জানা যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণে হাসপাতালে রোগী কম আসছে। তবে ইমাজেন্সি রোগীরা এ্যাম্বুলেন্সযোগে নয়তো কোননা কোন ভাবে ঠিকই আসছে।
কোনো রোগীকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। ২৪ ঘন্টাই হাসপাতাল খোলা আছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা সিন্টম নিয়ে আসা রোগীদেরও রামেক হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হবে না।তবে সরকারি নির্দেশনার কারণে আউটডোর সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।