রংপুরের গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়া গ্রামে। জানা গেছে শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১:৩০ মিনিটে শ্রী বলরাম চন্দ্র ( ৭০) এর বাড়িতে গোয়াল ঘরে গোবরের শলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে সম্পূর্ণ বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়।
এব্যাপারে বাড়ির মালিক শ্রী বলরাম চন্দ্র জানান গরুকে যাতে মশা না কামড়ায় সেজন্য গোবরের শলাকায় প্রতিদিনের ন্যায় আজ রাতেও আগুন লাগিয়ে রাখা হয়।আমার ধারণা এই জ্বলন্ত শলাকা থেকে ধীরে ধীরে ঘরে আগুন লেগে যায়। আমি রাত ১: ৩০ মিনিটে টের পেয়ে দেখতে পাই গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলতেছে। সাথে সাথে চিল্লাচিল্লি করলে পাড়ার সব লোক এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং স্থানীয় গংগাচড়া ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন দিলে তারা এসে আগুন নেভায় ততক্ষনে আমার বাড়িতে ছোট বড় আটটি টিনের ঘরের মধ্যে পাঁচটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় এবং বাকি তিনটি সামান্য অবশিষ্ট আছে। এতে করে গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরু, হাঁস মুরগি,ঘরে থাকা আসবাবপত্র নগদ ২৫ হাজার টাকা, সোয়া ভরি সোনার গয়না,২৫ থেকে ৩০ মণ ধান -চাল,লেপ-তোষক সহ যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এতে করে আমার প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কোন কিছুই অবশিষ্ট রইল না।
একই এলাকার অর্জুন চন্দ্র জানান ঠিক সময়ে এলাকার লোক ও ফায়ার-সার্ভিস না এলে পাশে থাকা বলরামের ভাইয়ের বাড়ি সহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
ঘটনাটি শুনতে পেয়ে গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা বেগম, গংগাচড়া পি আই ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন,কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব আলী রাজু, স্থানীয় ইউপি সদস্য আলা মিয়া, মোঃ হোদা মিয়া, রবিউজ্জামান রুবেল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করেন।
গংগাচড়া পি আই ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা বেগমের নির্দেশে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে ৫০ কেজি চাউল, ৫ কেজি ডাল, ৫কেজি চিনি, ৫ কেজি লবন, চিড়া,ধুতি, শাড়ি, কম্বল, ভাড়া- পাতিল সহ প্রায় তিন হাজার টাকার জিনিস পত্র দিয়েছি। আগামীকাল আমরা চার বান্ডিল টিন ও নগদ ৯ হাজার টাকা সহায়তা দিব।
এদিকে গংগাচড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির কাজ শুরু করার জন্য তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা শ্রী বলরামের হাতে তুলে দেন। তিনি আরও বলেন একটি গরু কিনে দেওয়া সহ বলরামকে যাবতীয় সাহায্য সহোগিতা করা হবে।