গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় কর্মরত এক কনস্টেবল আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। যে কারণে ওই থানায় কর্মরত ৬৬ জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে ওই থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসার নিজের বাসায় হোম কোয়ারেন্টানে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি ২৮ জন এসআই ও এএসআই এবং ৩৭ জন কনস্টেবল সরকারি মুকসুদপুর ডিগ্রি কলেজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। শনিবার মুকসুদপুর থানার সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি তদারকি করেছেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসলাম খান।
মুকসুদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই মিজানুর রহমান জানান, থানায় কর্মরত মহিউদ্দিন নামক একজন কনস্টেবল গত ১ এপ্রিল সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। গত ৬ এপ্রিল ছুটি নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যান। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের বীরবাসাইল কলাবাগান গ্রামে। মানিকগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমূনা সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রিপোর্ট পেয়ে তার করোনা পজিটিভ বলে নিশ্চিত করেন। ফলে শুক্রবার রাত থেকেই মুকসুদপুর থানায় কর্মরত ৬৬ জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মীর মোঃ সাজেদুর রহমান জানান, তারা ৬৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন। তিনি আরও জানান থানা সচল রাখার উদ্দেশ্যে ইতি মধ্যে এ থানায় অন্য জায়গা থেকে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল যোগদান করেছেন। সদ্য যোগদানকৃতরাই আপাতত থানা চালাবেন।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, ওই থানার সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আমরা ১ দিনে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করতে পারি। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে শনিবার ঢাকা পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা পুলিশ সদস্যদের সবার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠানো হবে।