বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। তবে এখনো বরগুনা জেলার পাঁচ শতাধিক ট্রলারে হাজারো অধিক জেলে রয়েছে গভীর সমুদ্রে।
যে কারণে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতি বলছে, জেলেদের উপকূলে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সব মাছ ধরা ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তবে বরগুনা জেলার পাঁচ শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার এখনো রয়েছে গভীর সমুদ্রে। যেখানে রয়েছে হাজার অধিক জেলে।
আগামী ২০ মে থেকে পরবর্তী ৬৫ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সাগরে ও নদীতে সব প্রকার মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তাই জেলেরা নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্ত পর্যন্ত মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে রয়েছে। সাগর কিছুটা উত্তাল থাকলেও আকাশে মেঘ ও বৃষ্টি না থাকায় বেশিরভাগ জেলেরা এখনো সাগরে রয়েছে। তাই জেলেরা এখনো উপকূলের না ফিরলে প্রাণহানির সম্ভাবনা হয়েছে।
ইলিশ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে যাওয়া রফিক মাঝির স্ত্রী পারুল বেগম জানান, তার স্বামী গত তিনদিন আগে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য গেছেন। আরো দুই তিনদিন পর তারা মাছ ধরে ঘাঁটি ফিরবেন। সমুদ্রের মধ্যে মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আগামী ২০ মে থেকে মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য সাগরের সব প্রকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তাই বেশিরভাগ মাছ ধরার ট্রলার শেষ মুহূর্তে মাছ ধরার জন্য সাগরে রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় কারণে বেশ কিছু মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে এলেও এখনো পাঁচ শতাধিক ট্রলার গভীর সমুদ্রে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।