যশোরের চৌগাছায় রাস্তা সংস্কারে সীমাহিন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এলাকার জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার সংস্কারের দূর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
চৌগাছা থেকে মহেশপুরের শেষ সীমানা পর্যন্ত তিন ধাপে রাস্তার সংস্কারের কাজ চলছে। প্রায় ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বাজেটের এই রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদার সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্নীতি করছেন বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, বর্তমান সরকার টেকসই মহাসড়ক ও নিরাপদ সড়ক পরিবহনের জন্য বদ্ধ পরিকর। কিন্তু কিছু অসাধু ঠিকাদারের জন্য উন্নয়নের গতিরোধ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন রাস্তা সংস্কারের কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে সড়কের উন্নয়নকে রুখে দিচ্ছেন ঠিকাদাররা।
সরজমিনে গেলে দেখা যায়, চৌগাছার জিয়লগাড়ি থেকে নওদাগা পর্যন্ত তিনধাপে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। কিন্তু রাস্তার পিচ না তুলেই তার উপর ইটের খোয়া দিয়ে রোলার করা হয়েছে। মেইন রোড সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট। তাছাড়া মেইন রোডে কোন আদলা ইট ব্যবহার করার নিয়ম না থাকলেও সর্বত্র এই ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি ইটের খোয়ার উপরে বিভিন্ন ধরনের ময়লা অবর্জনা সহ পলিথিনের বিস্তার লক্ষ করা যায়। পলিথিনসহ খোয়া দিয়ে রোলার করা হচ্ছে। এমনকি রাস্তায় খোয়ার সাথে কোন ধরনের বালি ব্যবহার করা হচ্ছে না।
একই সাথে খোয়ার উপর রোলার করার সময় কোন পানি ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে ঠিকাদার কোম্পানির ঠিকানা ও রাস্তার বরাদ্দের পরিমাণের জন্য স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরে খোঁজ নিলে তারা বলেন ফাইলটা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রোকৌশলী অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, সৈকত এন্টারপ্রাইজ, কুষ্টিয়া নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পান।
পরবর্তীতে চৌগাছার আসিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মঈনুল ইসলাম বাচ্চুসহ স্থানীয় ঠিকাদার ঠান্ডু ও লোকমান নামে তিনজন ব্যক্তি রাস্তা সংস্কারের কাজটি করছেন। তিনি আরো বলেন, এই কাজের অর্ডারশিট এখন আসেনি। অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজসে এই কাজটি চলছে।
এ বিষয়ে চৌগাছা প্রৌকশলী আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার অফিসের সহকারী প্রৌকশলীরা কাজের তদারকি করছেন। আমার জানামতে এ ধরনের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। তবে যদি কেউ এমন ধরনের কাজ করে তাহলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।