যশোরের চৌগাছার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ও নিম্নমানের বিস্কুট। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী, অনুমোদনহীন ও স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এসব বিস্কুটের দাম কম হওয়ায় দেদারছে কিনছেন জনসাধারণ। ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ভর্তি করে রাস্তার ফুটপাত দখল করে খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে এই বিস্কুট। এ সব বিস্কুট উৎপাদনে ব্যবহৃত করা হচ্ছেনিম্নমানের খাদ্য উপাদান। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি উৎপাদন কোম্পানীর লেবেল পলিথিন ভর্তি বিস্কুটের মধ্যে থাকলেও সেখানে ব্যাচ নং, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন তারিখ নেই। আবার এই সব বিস্কুট বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
চৌগাছা বাজারে প্রায় ৩০ টি ভাসমান খোলা বিস্কুটের দোকান রয়েছে। ওই সব দোকানে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ মণ বিস্কুট বিক্রি করা হচ্ছে। এই সব বিস্কুটগুলো কিভাবে তৈরী করা হচ্ছে তা কারো বোধগম্য নয়।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন রাসায়নিব দ্রব্য ব্যবহার করে উৎপাদন করা হচ্ছে এসব বিস্কুট। উপজেলার আরিফ বেকারী, থেকে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে এই বিস্কুট বাজারজাত করা হয়। প্রতিদিন এই দোকান থেকে প্রায় ১শ মণ বিস্কুট বিক্রি করা হয়।
আরিফ বেকারীর মালিক আরিফ জানান, সারা দেশের ব্যবসায়ীদের মতো তারাও এসব বিস্কুট খোলা বাজারে বিক্রি করেন। শুধু তারা নই জেলা শহর ছাড়া আশেপাশের উপজেলা থেকেও বিভিন্ন বেকারী এই বিস্কুট বাজার গুলোতে বিক্রি করে থাকেন। বিস্কুটের প্যাকেটে গায়ে উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন থেকে তারিখ ব্যবহার করবো। এর বাইরে তিনি আর কোন কথা বলতে চাননি।
এ সব বিস্কুট কবে উৎপাদন করা হয়েছে, মেয়াদ কবে শেষ হবে তা বাস্তার গায়ে কিংবা বাস্তার ভিতরে লেবেলে উল্লেখ নেই। এমনটি বিএসটিআই এর আনুমোদন ও নেই। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন কোন কিছু যাচাই বাছাই না করে খোলা বাজার থেকে এসব বিস্কুট কিনছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছি। অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। তারপরও যদি কেউ অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।