জামালপুরে ট্রাক আটকিয়ে দরিদ্র কর্মহীন মানুষের ত্রাণসামগ্রী লুটের ঘটনায় সোমবার সকালে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল পাশা রোববার রাত সাড়ে ১১টায় জামালপুর সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ত্রাণ লুট, দরিদ্রদের নামে মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় শহরে তোলপাড় চলছে।
গ্রেফতাররা হলেন মিয়াবাড়ী এলাকার হোসেন আলীর ছেলে রফিক, সাতপাকিয়া এলাকার খোরশেদ আলম, জীবন মিয়া, গেদা মিয়ার ছেলে আমির ও হিরা মিয়ার ছেলে সলিমুদ্দিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মুকুন্দবাড়ি এলাকার স্বচ্ছ , বাবু ও সাকিব, সাতপাকিয়া এলাকার সোহাগ, রফিকের ছেলে আনোয়ার, হিরু মিয়ার ছেলে ছয়মুদ্দিন, জসিম উদ্দিনও নাসির উদ্দিন।
করোনা মহামারী সংক্রমণ মোকাবিলায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে দরিদ্র মানুষেরা। ঘরে থাকা কর্মহীন দরিদ্র মানুষজনকে সাহায্যের জন্য পৌর মেয়র ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০০ ত্রাণের প্যাকেট বরাদ্দ দেন। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু ছিল।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকপাড়া, বিলপাড়া ও হাজীপাড়া এলাকার দরিদ্র মানুষজনের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে মালগুদাম হতে ত্রাণের ৪০০টি প্যাকেট বোঝাই করে ট্রাকযোগে ওই কাউন্সিলর যাচ্ছিলেন। ট্রাকটি রোববার ১২ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান ছানার বাড়ির সামনে পৌঁছলে ট্রাকটি আটকিয়ে ত্রাণসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় আসামিরা।
জামাল পাশা বলেন, লুট হওয়ায় নির্বাচনী এলাকার কর্মহীন দরিদ্র মানুষজনকে ত্রাণ দিতে পারি নি। যারা এই ত্রাণ লুট করেছে তাদেরসহ লুটের নেপথ্যে মদদদাতাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান বলেন, রাতে মামলা হয়েছে। সকালে অভিযান চালিয়ে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।