বৈশ্বিক মহামারী করোনা বাংলাদেশে হানা দেওয়ার প্রায় মাস খানেক আগ থেকেই দেশে সরকার কর্তৃক প্রস্তুতি চলছে করোনা মোকাবেলায়। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার জোর প্রস্তুতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়ার পর পরই প্রশাসন আরো সোচ্চার হয় এবং বিভিন্ন জায়গা লকডাউন করতে শুরু করে। এদিকে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় সকল কারখানা এবং যান চলাচল। আর এতেই বিপাকে পরেন বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ। দিনমজুর মানুষের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন তারা। বিভিন্ন মহল থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ান অনেকেই।
যার যার দায়িত্ববোধ এবং মানবিকতার তাগিদে ক্ষুদ্র এবং বৃহৎ আকাড়ে চলছে ত্রাণ সহায়তা। দেশের চরম এই দুর্দিনে কেউ যাতে কষ্টে না থাকে সেদিকে বেশ ভালোই নজর রাখছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও।
অন্যদিকে সরকারি তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত ত্রান সহযোগিতা প্রান্তিক জনগনের হাতে পৌছতে বাধা পাচ্ছে অনেক জায়গায়। স্থানীয় জনগণের ব্যক্তি উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রাণ পৌছালেও সময়ের এই কঠিন মুহুর্তে কিছু কুৎসিত মানসিকতার মানুষ ক্ষুধার্তদের আহার মেটানোর পরিবর্তে নিজেকে সম্পদশালী হবার এটাই সুযোগ বলে ভেবে চরম নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের নির্দেশনা ও হুশিয়ারি উপেক্ষা করে প্রতিনিয়তই চলছে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল আত্নসাধের ঘটনা। গুটিকয়েক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং তাদের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের লোভী এবং ক্ষুদ্র মানসিকতার কারণে সঠিক মানুষের কাছে সহযোগিতা পোঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। হতদরিদ্র মানুষগুলো যখন খাবারের অভাবে আহাজারি করছে ঠিক তখনও থামছেনা এসব অপকর্ম যা ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর যন্ত্রনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের এহেন দায়িত্বহীন আচরণে তাদের উপর আস্থা হারাতে চলেছে সাধারণ মানুষ যারা আশা করেছিলেন এমন কঠিন সময়ে অন্তত তারা বঞ্চিত হবেন না।
যদিও এরকম ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়, তবুও করোনার ভয়াল থাবায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল এবং মানবিক আচরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা ছিলো এসকল জনপ্রতিনিধিদের। অনেকেই এখন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছেন ত্রানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য।
প্রতিনিয়তই যখন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনাহারী মুখগুলোর করুন অবস্থা তখন স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে সরকারের এসকল প্রকল্প ব্যবস্থাপনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছেন ত্রান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে। তবুও প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলেই দেশের এই কঠিন সময়ে উদার ও দায়িত্ববান হিসেবে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। আর এরই মধ্যদিয়ে দেশপ্রেম এবং মানবপ্রেমের পরিচয় প্রতিফলিত হবে। করোনা মোকাবেলায় সকলের পারস্পরিক সহানুভূতি, সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার বিকল্প নেই।
আসাদুজ্জামান
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
অবশ্যই দুঃখজনক এবং হতাশাজনকও বটে।
সবাই পায় হীরার খনি আমি পেলাম চোরের খনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে এসেছে অনেকেই নিজেদের কুরুচিকে চরিতার্থ করার জন্য
সময়োপযোগী লেখা।এসব জঘন্য অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর প্রয়োগসহ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক
জনগণ সরকারকে সহযোগিতা করলে সম্ভব
প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। সকলের সহযোগিতা কাম্য
সময়োপযোগী লেখা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। ❤❤
জনগণ সচেতন এবং প্রতিবাদী হলে এসকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব।