শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ছাত্রলীগের কর্মীরা আজ সকালে নয়াবিল ইউনিয়নের মানুপাড়া গ্রামের, গরীব অসহায় দারিদ্র্য এক বিধবা মহিলার ৪০শতাংশ জমির ধান কেটে দেন তারা।
উল্লেখ্য,করোনা ক্লান্তিতে সারাদেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন।আর এই সময়ে সারাদেশে বোরোধান ধান পেকে গেছে এবং এখন উপযুক্ত সময় যাচ্ছে ধান কাটার। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে সবাই।তাই এ সময়ে শ্রমিক সংকট চলছে,আর এর মাঝেই সারা দেশে কৃষকের ধান কেটে দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছে বা করে যাচ্ছেন।পুলিশ,কমিটি পুলিশ,ছাত্রসমাজ সহ দেশের বিভিন্ন সামাজিক অংগসংগঠন কৃষকের ধান কেটে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।ঠিক তেমনি নালিতাবাড়ী উপজেলার ছাত্রলীগের কর্মীরা অসহায় দারিদ্র্য পরিবারের ধান কেটে দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন কারও না,কারও ধান কেটে ও বারিতে পৌঁছে দিচ্ছেন।নালিতাবাড়ীতে ছাত্রলীগের নেতা,আবিদ আল হোসাইন সৈকত,গোলাম মাওলা,সজিব আহম্মেদ, নাজমুল হাসান তানভীর, মিজান শেখ, এস.তাইবুর রহমান রুবেল,সাব্বির আহাম্মেদ বাদশা,শাহরিয়ার অনিক সোহেল,আবু হেনা,আশিকুর রহমান, রুবেল হোসাইন, শেখ রাসেল,মিজান শেখ, আমিন সহ আরো অনেকে এই ধান কাটায় অংশ নেয়।
এই ধান কাটার সময় বিস্তারিত জানতে চাইলে,ছাত্রলীগ নেতা সৈকত বলেন,আমরা ধান কাটতে এসেছি,ধান কেটে যাবো,আমরা কোন ছবি বা ফটোসেশান করতে আসেনি,যারা তাদের ধান কাটতে অক্ষম,ধান কেটে বারিতে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা যেন আমাদের জানাই,আমরা প্রতিনিয়তর মত ধান কেটে দিবো।ছাত্রলীগ নেতা গোলাম মাওলা বলেন,আমরা সব সময় গরিব অসহায় দারিদ্র্য মানুষের পাশে ছিলাম, আছি,থাকবো।এই ধান কাটা অব্যাহত থাকবে করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ।
আর,বিধবাহ রহিমা বেগম অনেক খুশি তার ধান কেটে দেওয়ায়।