করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দক্ষিণ বঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ খ্যাত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখন নির্জন জনশূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের অধীনে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নভূমি এই ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত সেই একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি আজ শিক্ষার্থীশূন্য। ক্লাস, পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন, ফিল্ড ওয়ার্ক, প্রাক্টিক্যালে শিক্ষার্থীদের আজ নেই কোনো ব্যস্ততা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নীল বাসগুলোতে এখন আর দেখা যায় না সিট ধরার মোহড়া, নেই কারো দৌড়ঝাঁপ। এখন আর কেউ সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করে না। এখনকার সকল চিত্র ভিন্নরকম। শিক্ষার্থীশূন্য বাসগুলো আজ নিরবে দাঁড়িয়ে আছে তার চিরচেনা মুখগুলোর দিকে।
ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ব্যস্ত নেই ক্যাম্পাস, শূন্য পড়ে আছে নীল কমলের চারিপাশ। খেলাধুলায় পারদর্শী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত সেই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ আজ খেলোয়াড়শূন্য, নেই কোনো প্রাণের আভা।
শিক্ষার্থীদের আড্ডা, গল্প, গানে মুখরিত সেই টিএসসি, আশে পাশের টং দোকানগুলো জনশূন্য। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপের চুমুকে গিটারের ধ্বনিতে মুখরিত জায়গাগুলো আজ হাহাকার।
আবাসিক হলের চিত্র গুলোও একই রকম। হলগুলো ও আজ নীরব, নেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা। আজ ছাত্র ছাত্রী কারোরই এখন আর পদচারণা নেই।
হলগুলো বন্ধ হওয়ায় আবাসিক শিক্ষার্থীরা ফিরে গেছেন নিজ বাড়িতে, নিজ পরিবারের কাছে। সবার মনে একটাই শঙ্কা, ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাস কতটা মহামারী রুপ ধারন করবে? কবে ক্যাম্পাসে ফিরবো? ক্যাম্পাসে ফিরতে পারবো তো? তবে সবাই সুস্থভাবে ফিরে আসুক প্রাণের ক্যাম্পাসে, আবারো মুখরিত হয়ে উঠুক ছোট্ট এই ক্যাম্পাস এমনটাই প্রত্যাশা সবার।