সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে পাউবোর বেঁড়ীবাঁধ ছিদ্র করে লবন পানি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জমির মালিকগন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী রামচন্দ্রপুর মৌজার ২ ও ৩ নং বেল্টে লবন পানির মৎস্য ঘের পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে মৎস্য চাষে ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মূখীন হওয়ায় মৎস্য চাষ ছেড়ে ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন জমির মালিকগণ। অন্যদিকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মৎস্য ঘের আরো বাড়ানোর জন্য জোর পূর্বক আরো বেশি লবন পানি প্রবাহিত করছেন। পানি প্রবাহ বন্ধের জন্য জমির মালিকগণ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা বরাবর ৪৮ জন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন দাখিল করেছেন।
পরবর্তিতে কালিগঞ্জ উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা তন্ময় হালদার স্বাক্ষরিত ২৩নং স্মারকে বেঁড়িবাঁধের নিচে অবৈধভাবে পাইপ স্থাপন করে লবন পানি উত্তোলন বন্ধের নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু নোটিশের তোয়াক্কা না করে কিছু কুচক্রী মহল তাদের কার্যক্রম আরো বেগবান করে চলেছেন। দিশেহারা কৃষকগন সর্বশেষ উপায় হিসেবে মানবন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ ছাড়া সমস্য সমাধান হবে না বলে মনে করছেন সর্বসাধারণ।
এবিষয়ে এলাকায় দায়িক্তরত কর্মকর্তা কালিগঞ্জ বাপাউবো এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী তন্ময় হালদার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অবৈধভাবে লবন পানি উত্তোলন বন্ধের নোটিশ করি। অবৈধভাবে লবন পানি উত্তোলন কেন বন্ধ করা সম্ভব হয়নি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সাত দিনের মধ্যে আমরা বিষয়টি সুরাহ করব।
এবিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমরা কৈখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। অচিরে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।