তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পঁচাশোল হাওরের ৫০ একর জমির ব্রি-২৯ জাতের ধান পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে গেছে। কৃষকরা ডুবে যাওয়া জমির ধান কাটার চেষ্টা করছেন। কৃষকরা আশা করছেন আজ প্রায় ৩৫ একর এর মতো জমির ধান কেটে নিয়ে আসতে পারবেন ।কিন্তু কৃষকদের এই আশা আর পূরন হল না।
পাহাড়ী ঢলের পানিতে গতকাল শনিবার রাত ২টায় দিকে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের (পঁচাশোল) হাওরের প্রায়৫০ একর জমির পাকা ধান ডুবে যায়। হাওরটিতে ইউনিয়নের আমতৈল, হলহলিয়া, পুরানঘাট ও শান্তিপুর গ্রামের কৃষকরা ধানের আবাদ করেছেন বলে জানা যায়।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় বলছেন, পঁচাশোল হাওরের ৬০ একর জমিতে ব্রি-২৯ ধানের আবাদ হয়েছে। উঁচু অঞ্চলের হাওর এটি। জমিও উঁচু। দুই এক দিনের মধ্যেই হাওরের পানি সরে যাবে। তখন কৃষকরা এই ধানগুলো আবারো কাটতে পারবেন।
পঁচাশোল হাওরের কৃষক আমতৈল গ্রামের আশরাফুল ইসলাম আকাশ বলেন, হঠাৎ করেই গত রাতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে হাওরটি ডুবে যায়। এতে করে আমার ৩০ কিয়ার (এক কিয়ার=৩০ শতক) জমির ধান ডুবে যায়। তবে আজ রবিবার ১৫ কিয়ার জমির ধান কাটতে পারব।
তিনি জানান, একইভাবে গ্রামের সুজন মিয়া, জাহের মিয়া, আক্তার মিয়া, পুরানঘাট গ্রামের জমির উদ্দিন তালুকদার, কবির মিয়া ও হলহলিয়া গ্রামের ইয়াছিনসহ সকল কৃষকের জমির ধান পানিতে ডুবেছে।
হাওরটির কৃষকরা জানিয়েছেন, সব ধানই ব্রি-২৯ জাতের। বর্তমানে এসব ধান পেকে গেছে। কিন্তু আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টি থাকায় তারা ধান কাটেননি। কারণ কাটা ধান শুকাতে না পারলে নষ্ট হয়ে যায়। তবে তারা বলেছেন, আজই হাওরটির ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ধান কাটতে সক্ষম হবেন।
তাহিরপুর উপজেলা উপসহাকরী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এটি একটি উঁচু অঞ্চলের হাওর। তাই বৃষ্টি কমলেই ঢলের পানি নেমে যাবে আশা করা যায় । পরে কর্তনের বাকি থাকা ধানগুলো তখন কাটতে পারবেন কৃষকরা।