প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংকটে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও একজন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৮ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়ছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য তাহের মিয়া।
জানা গেছে, করোনা সংকট ৫০ লাখ পরিবারের ঈদ উপহার হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ঈদ উপহার দেয়া হবে ৭৫ হাজার পরিবারকে। ইতোমধ্যে ২৫ হাজারেরও বেশি পরিবারের কাছে উপহারের টাকা পৌঁছেছে।
তবে ত্রাণ গ্রহীতাদের তালিকা তৈরিতে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়াররম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়া ও বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমেদ এবং সদস্য তাহের মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে।
এর প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি প্রেরণ করে।
আদেশে বলা হয়, তার এই অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
একইসময় সাময়িকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাবপত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৭১ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪৫ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং ২ জন পৌর কাউন্সিলর।