বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধান কাটা মৌসুম শুরু হলেও শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না অনেক প্রান্তিক কৃষক।
নন্দীগ্রাম উপজেলার সব ইউনিয়নে ধান কাটার শ্রমিক সংকট চলছে । এ ব্যাপারে কয়েক জন কৃষকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় অন্য জেলার শ্রমিকের উপস্থিত অত্যন্ত নগন্য। কারণ হচ্ছে দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ভয়ে কোন শ্রমিক আসতে চাচ্ছে না। অন্যান্য বছর বাইরের জেলা থেকে যে শ্রমিকরা আসতো এ বছর তারা আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। তাই শ্রমিক সংকটে আছি জানিনা কতটুকু ধান কাটতে পারবো।
এবার জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করেছি ফসল ভাল হয়েছে ধান কাটায় দেরি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে। শ্রমিক সংকট কাটাতে হলে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা জেলা থেকে শ্রমিক আসতে হবে। করোনা সংকটের সময়ে কৃষি শ্রমিকদের কাজ করতে আসার সুব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি প্রান্তিক কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ভর্তুকিমূল্যে ধান কাটার (কম্বাইন্ড হারভেস্টার) যন্ত্র কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কিছু শ্রমিক সংকট কমবে। তবে শ্রমিক সংকট নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ধান কাটার ক্ষেত্রে কৃষকদের সবরকম সহায়তা করা হবে।