সরকারী আদেশ অমান্য করে সন্ধ্যা ৬ টার পর বাহিরে অবস্থান করে আড্ডা দেয়ার অভিযোগে পুলিশ গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টায় পুলিশ অভিযান চালায় বগুড়া শহরের বাদুরতলা এলাকায়। বাদুর তলা তিব্বতের মোড় এলাকার এক চা এর দোকানে ২০/২৫ জন মানুষের সমাগম দেখে।পরে পুলিশ হ্যান্ড মাইকে এলাকা ছেড়ে সকলকে বাসায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু লোকজন কোন অবস্থাতেই পুলিশের কথা শুনছিল না।
এক পর্যায়ে পুলিশ গাড়ী থেকে নেমে লোকজনের সাথে কথা বলে সবাইকে বাসায় যাওয়ার অনুরোধ জানায়। এসময় লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং পুলিশের সাথে ধাক্কা ধাক্কিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি আরো বেশী খারাপ হলে ঘটনার স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে জাকির হোসেন (৪০), আরাফাত রহমান রনি(৩২), আব্দুল কাইউম (৫০), ফরিদ শেখ (৩০) শিপন শেখ(৩০), রাজু আহমেদ (৩০), জামাল ফয়সাল(৪০) আবু হুমসয়ারা (৩০), ওমর ফারুক(১৮) অভিজিৎ রায়(৩৫) কে গ্রেফতার করে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বগুড়া পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগীতা কেউ করছে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এবিষয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতার কৃতদের বারবার পুলিশের পক্ষ থেকে বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা পুলিশের কোন কথা না শুনে আরে উল্ট পুলিশের সাথে ধাক্কা ধাক্কিতে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে সরকার সন্ধ্যা ৬ টার পর বাসার বাহিরে অবস্থান না করার জন্য জনস্বার্থে একটি আদেশও জারি করেছে। কিন্তু সেই আদেশ কেউ মানছে না। বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে যানা গেছে, শহরের বাদুরতলা, উপশহর, ঝোপগাড়ী, ফুলবাড়ী বিসিক, কালিতলা হাট, উত্তর চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, কৈপাড়া, নামাজগড় এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে চা এর দোকানে জনসমাগম বেশী হচ্ছে। মাঝে মাঝে পুলিশ টহল দিতে আসলে লোকজন চলে যায় এবং পুলিশ চলে গেলে আবারো আড্ডা জমজমাট হয়ে উঠে। এখটনায় বগুড়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাড়তে পারে বলে অনেকে ধারনা করছে। পুলিশের অভিযান জোরদার করার পক্ষে মতামত দিয়েছে অনেকে।