কোভিড মহামারীর কারণে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বৃদ্ধি করা হয়েছে । সর্বশেষ সংযোজন ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় । বলা হচ্ছে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে ।
বাংলাদেশের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় সত্যি কি বন্ধ আছে শিক্ষা দান ?
সত্যতা যাচায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে এমন এলাকায় চোখ রাখলেই সমাধান পেয়ে যাবেন । বই খাতা নিয়ে কোমলমতিদের কোলাহল মুগ্ধতার পাশাপাশি শঙ্কিতও করবে । যেখানে সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। এবং শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকদের নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে । ঠিক উল্টো পথে হাটছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা । আঙ্গুলে হাত ধরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকদের কাছে । টিকে থাকার বাসনায় জ্ঞান আহার করছে শিশুরা । সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু কিছু শিক্ষক ।
সত্যিটা হচ্ছে সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে লুকুচুরি খেলে অনেক পূর্বেই শুরু হয়ে গেছে শিক্ষাদান । প্রাইভেট ব্যাচের নাম করে চলছে অলিখিত স্কুল । খুঁজ নিলে অসংখ্য বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ভেসে উঠবে যারা কোভিডের তুয়াক্কা না করে এসাইমেন্টের আড়ালে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছে । বই খাতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দৌড় ঝাঁপ আপনার মনে এমন কৌতুহল সৃষ্টি করতেই পারে সময় এসেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দেয়ার । সত্যি যদি ব্যাচ কিংবা কোচিং ব্যবস্থায় শিক্ষালাভে করোনা কিছু করতে না পারে তবে খোলে দেয়া হোক স্কুলগুলো । কিছু নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে কোলাহরময় হয়ে উঠুক স্কুলগুলো । প্রায় নয় মাস যাবৎ অলস সময় কাটানো শিক্ষকদের কাজে লাগানো হোক দুই অথবা তিনটি ব্যাচ করার মাধ্যমে । পূর্বেই অবগত কওমি মাদরাসাগুলোতে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে ।
যেখানে এখন পর্যন্ত অাশাব্যঞ্জক কোন কিছু চোখে পরে নি । সফল ভাবেই প্রতিহত করেছে করোনা ভাইরাসকে । উল্লেখ্য,দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই আছে।
এপ্রিলে নির্ধারিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মহামারির কারণে নেয়া সম্ভব হয়নি । এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও কেন্দ্রীয়ভাবে হয় নি । তাইতো সাধারন মানুষের ভাবনায় এখন কবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ? সুযোগ আসবে অনুমোদিত শিক্ষালাভের ।