বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যখন তাজা স্বাধীনতার হাওয়া বইছে, তখনও একদল মানুষকে দেখা গেছে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় ওরা। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী। বেতন-ভাতা সহ সকল সূযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত বেশ কয়েকমাস ধরেই, মাস্টাররোল এ নিয়োগকৃত এসব কর্মচারীদের জন্য নেই কোনো নীতিমালা। স্বাভাবিক সময়ে যারা ছিলো দুস্থ অবস্থায়।
লকডাউনের এই সময়ে কেমন যাচ্ছে তাদের দিন, আদৌ দুমুঠো ভাত জুটাতে পারছে কিনা তাদের পরিবারের জন্য।
বিশ্বের এই ক্রান্তিলগ্নে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরের এই অসহায় কর্মচারীদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। আজ বিকাল ৫ টায় তার সৌজন্যে বশেমুরবিপ্রবি এর ১৭৬ জন মাস্টাররুল কর্মচারীর জন্য খাদ্য সহায়তা এসে পৌঁছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত প্রবেশাধিকার বন্ধ, এছাড়া সামাজিক দুরত্ব নিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে এই ত্রান কার্যক্রম চলবে ভ্রাম্যমাণ।
গাড়িতে করে এই ত্রান পৌঁছে দেওয়া হয় ১৭৬ জন কর্মচারীর দোরগোড়ায়।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম বলেন, বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকাল যতদিন থাকবে, মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমি আমার সাধ্যমতো বশেমুরবিপ্রবি এর অবহেলিত কর্মচারীগণ এবং গোপালগঞ্জের দুস্থ জনমানুষের জন্য সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাবো। এবিষয়ে আমি সর্বস্তরের দোয়া প্রার্থী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলো অত্যন্ত দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যে দিয়ে খুবই শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। বশেমুরবিপ্রবির দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীগণও এর ব্যতিক্রম নন যারা গত নয় মাস যাবত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনরূপ বেতন পাচ্ছে না। এদের দুঃখ-দুর্দশা অন্যদের তুলনায় বরং বেশিই। গোপালগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা, জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম চাচার এর সুযোগ্য সন্তান উদীয়মান সমাজসেবক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, ভাই বশেমুরবিপ্রবির দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্যে উপহার সামগ্রী প্রদানকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই।
তিনি ইতিপূর্বেও গোপালগঞ্জের প্রায় ১২ হাজারের অধিক অসহায় পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এবং এটি চলমান রেখেছেন। যা নিঃসন্দেহে মানবিক কাজ। জাতীয় এই মহা দুর্যোগের সময় নাঈম ভাইয়ের প্রদানকৃত উপহার সামগ্রী বশেমুরবিপ্রবির দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের দুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক হবে এবং এই চরম বিপদের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের পাশে থাকার জন্য নাঈম ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আশা প্রকাশ করছি ভবিষ্যতেও তিনি যেকোনো প্রয়োজনে ও বিপদ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকবেন।
উক্ত কার্যক্রমের দ্বায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল জানান, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাইয়ের এই সহযোগিতা আমরা প্রতিটি কর্মচারীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো আজ রাত থেকেই।
এখানে তাদেরকেই প্রাথমিক অবস্থায় সহযোগিতা করা হচ্ছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টাররুলে কর্মরত এবং বেতন-ভাতাহীন কাজ করে যাচ্ছে।