মাগুরায় লকডাউন ঘোষণার মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পরিবার গুলোকে গৃহবন্ধী করে ফেলা হলেও ওই সব পরিবারের অন্যান্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে কোনো নজরদারি নেই স্যাস্থ্য বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসনের।
এতে করে সংক্রমিত ওই সব পরিবার গুলোর মাধ্যমে প্রতিবেশি এবং অপরাপর পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মাগুরা শহরের প্রানকেন্দ্র কলেজ পাড়ায় গত ৮ এপ্রিল প্রথম এক করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়৷ এর পর থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ হতে আক্রান্ত ব্যাক্তির আবাসস্থল সম্প্রতি ঢাকা থেকে আসা নিকট আত্বীয়র বাড়িসহ তিনটি বাড়ি আনুষ্ঠানিক ভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ সময় তাদের বাড়িতে আবদ্ধ থাকতে হবে বলে প্রয়োজনীয় সকল কিছুর জোগান দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। পরদিন আক্রান্ত ব্যাক্তির পরিবারসহ মোট ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
কিন্তু এ সকল ঘোষণার পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোন প্রকার তদারকির ব্যাবস্থা না থাকায় লকডাউনে থাকা প্রতিবেশী পরিবার গুলি নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাহির থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে জোগাড় করে নিতে থাকেন। অপর দিকে পার্শবর্তী প্রধান সড়ক সংলগ্ন ঢাকা থেকে আগত নিকট আত্মীয়র দুইটি বাড়ি লাল পতাকার চিহ্ন বিহীন সম্পুর্ন অরক্ষিত স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার কারনে বাড়িতে নিয়মিত কাজের বুয়ার আনাগোনাসহ উন্মুক্ত পরিবেশ দেখে সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় শংকিত হন স্থানীয় এলাকাবাসী। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের স্বাস্থ্য বিভাগের তত্বাবধানে রেখে যথাযথ চিকিৎসার দাবী জানান তারা।
এ ব্যাপারে পৌর ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু রেজা নান্টু জানান, লকডাউন ঘোষণার পর হতে লকডাউনে থাকা অনেকেই প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের জন্য বার বার ফোন দিলে লোকবল না থাকায় নিজে গিয়েও দিয়ে এসেছেন তিনি। কেউ কেউ বাহিরেও চলে যাচ্ছে যার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
গতকাল বিকালে বিষয় গুলি তুলে ধরার পর মাগুরা সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, লকডাউন ঘোষণার পরবর্তী বিষয় দেখভালের দ্বায়িত্ব প্রশাসনের।
তবে জেলার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে এই দেখভালের বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কিছুটা উদাসিনতা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ড.আশরাফুল আলমের দৃষ্টিতে আনা হলে তিনি বলেন, অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।
অতপর আজ সকালে লকডাউন ঘোষণায় অরক্ষিত থাকা বাড়ির সদস্যদের একজনের করোনা আক্রান্ত হবার খবরে এলাকাবাসীর সেই আশংকা এবার বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে বলেই ধারনা করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য যে, আজ মাগুরা শহর এলাকায় নতুন করে আরও দুই জন করোনা সনাক্তের খবরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সংক্রামন ঝুঁকি থেকে রক্ষার যথাযত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী আজ সর্ব মহলে।