মাগুরায় গ্রামের হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা ত্রাণ সামগ্রী জোরপুর্বক কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিতরণ করা ত্রাণ সামগ্রীসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রাম্য সামাজিক মাতুব্বরদের দলাদলিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
মাগুরা সদরের গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রামে (৮ এপ্রিল) বুধবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রাম্য মাতুব্বর রফিক মোল্লা (৩৮) ও বাদশা বিশ্বাস (৫০) কে আটক করে বিতরণের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ব্যাপারে গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব জানান, এই বিপর্যয়ের মুহুর্তে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তবান ব্যাক্তিবর্গ দরিদ্র মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন। যা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সুষ্ঠ ভাবে প্রকৃত অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ব্যাক্তি উদ্দ্যোগে প্রাপ্ত বিপুল পরিমান ত্রাণ পরিষদের মাধ্যমে ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকার ফরিদপুর অবস্থানরত জনৈক ব্যবসায়ীর প্রতিদিন ২০ টি পরিবারে জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকালে তার নিজ এলাকা বাহারবাগ গ্রামের তালপাড়ায় ২০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়। পরে রাত্রে সেই ত্রান স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী বিষয়টি ভিন্নভাবে দরিদ্রের দেয়া সেই ত্রাণসামগ্রী বাড়ি বাড়ি থেকে জোরপুর্বক নিয়ে আসে, যা দুঃকজনক।
গ্রামের ভুক্তভোগী দরিদ্র আবু মিয়া জানান, গতকাল বিকালে পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চৌকিদাররা বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসার পর সন্ধায় স্থানীয় বাদশা মোল্লা, আতর আলীসহ মাতুব্বররা বাড়ি বাড়ি সেই ত্রাণ সামগ্রী ফেরত দিতে বলেন। এ অবস্থায় পরিবারসহ অনাহারে থাকায় ত্রাণসামগ্রী ফেরত না দিতে বাড়িঘর তালাবন্ধ করে অনত্র পালিয়ে যান।
আলেয়া বেগম নামে অপর একজন একই অভিযোগ করে বলেন, ঘরে এনে মালামাল পাত্রে রাখার পর মাতুব্বরদের চাপাচাপিতে সেই সব সামগ্রী আবার দিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, দরিদ্রদের ত্রাণের মালামাল উদ্ধারসহ দুই জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মাগুরা সদর থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে বলে জানান।