মানিকগঞ্জের শিবালয়ে অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নারায়গঞ্জ নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
পুলিশ মামলা না নিলে,বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে মানিকগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই মামলা করেন নির্যাতিতা ছাত্রীর মা।
নির্যাতিতা মেয়ে জানান,রবিবার(৮ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে য়াওয়ার পথে তাকে ভয় দেখিয়ে একটি অটরিক্সায় উঠায় ওই এলাকার এক যুবক।তার সাথে একজন বয়স্ক মানুষও ছিলো।তারা বলে যেখানে নিয়ে যাবো সেখানেই যেতে হবে তা না হলে মেরেফেলার হুমকি দেয়ে তারা।প্রানের ভয়ে তাদের সঙ্গে নারায়গঞ্জের রুপগঞ্জে যায়।সে খানে একটি ওয়াল করা টিনসেটের ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করতে থাকে।বুধবার(১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই মেয়ে সেই এলাকার এক ব্যাক্তির মোবাইল ফোন দিয়ে তার বাবার ফোনে কল দিয়ে এসব ঘটনা খুলে বলে।পরে মেয়ের বাবাসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে বুধবার রতেই তাকে উদ্ধার করে।এবং ওই যুবক কে হাতে নাতে ধরে ফেলে।এরপর তারা নিজ গ্রামে ফিরে আসে।মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবা(১২ মার্চ) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।তার শারীরিক পরিক্ষা করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের স্টাফ নার্স জান্নাত আরা শিমুল।
নির্যাতিত মেয়ের মা জানান,পুলিশের কাছে আইনগত সহায়তা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
এবিষয়ে শিবালয় থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,ওই মেয়ে এবং ছেলে তারা দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।এই কারণে তারা নিজের ইচ্ছায় পালিয়ে গিয়ে ছিলো।সেখানে চাকরির সন্ধানে একটি কারখানায় যায়।তারা সেখানে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিলে। কারখানার কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়।পরে তাদের দুজনকে আটকে রেখে পরিবারকে খবর দিলে মেয়ের বাবাসহ কয়েকজন গিয়ে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।থানায় জিডি ও মামলা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান তিনি।