মানিকগঞ্জ স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন। বুধবার (২৬ ফেব্রয়ারী) আসামীর অনুপস্থিতিতে এই আদেশ দেন তিনি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একে এম নুরুল হুদা রুবেল জানান,মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ফাড়ীরচর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে হযরত আলী বেপারী সাথে ২০০০ সালে একই গ্রামের মামলার বাদি মোন্নাফ বেপারী মেয়ের রোকসানা আক্তার (২৫) এর বিয়ে হয়।বিয়ের পরে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তানের জন্মের পর রোকসানাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো তার স্বামী হযরত আলী বেপারী।
২০০৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর হযরত আলী বেপারী রোকসানার বাড়িতে এসে যৌতুকের এক লক্ষ টাকা দাবী করে।টাকা দিতে অস্বীকার করায় রোকসানার বাবা মোন্নাফ আলী বেপারীর সাথে জামাই হযরত আলী বেপারীর কথা কাটাকাটি হয়।ওই দিনই রোকসানা তার স্বামীর সাথে শশুর বাড়িতে চলে যান। সেই রাতেই হযরত আলী বেপারী তার স্ত্রী রোকসানাকে হত্যা করে। রাত ১১ টার দিকে লাশ বারান্দার আড়ের সাথে ঝুলানোর সময় লোকজন দেখে ফেলে।প
রের দিন ২৮ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় রোকসানার বাবা মোন্নাফ আলী বেপারী বাদি হয়ে মেয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা করেণ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৯ সালে ২রা সেপ্টেম্বর হযরত আলী বেপারীকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে।
আসামী হযরত আলী বেপারী আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। আদালত থেকে মোট ৯ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়।আসামী হযরত আলী বেপারী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেন আসামীকে মৃত্যুদন্ড আদেশ দেন।