শেরপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের স্টোর রুম থেকে আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকার বিনা মূল্যে বিতরণযোগ্য ওষুধ উদ্ধার করা হয়ে।উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ ওষধের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েগেছে।
আজ ২৩মার্চ(সোমবার) দুপুরে শহরের গোপালবাড়ী এলাকাস্থ সদর উপজেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ওষুধ ভাণ্ডার থেকে ওইসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়। ওইসব ওষুধের মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে ওই কেন্দ্রের তিনতলা ভবনটি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে কেন্দ্রের ওষুধ ভাণ্ডারটি পরিচ্ছন্ন করার সময় দেখা যায়, সেখানে অব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পড়ে আছে। ওইসব ওষুধের মধ্যে মূল্যবান এন্টিবায়োটিক ওষুধ ও গজ-ব্যান্ডেজ রয়েছে।
এ ছাড়াও উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য শাড়ি ও লুঙ্গি রয়েছে। সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন রহমান অমি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সিজার করার সমস্ত যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) মোস্তাফিজুর রহমান এ কেন্দ্রে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন না।
গত দুই বছরে এ কেন্দ্রে মাত্র দু’টি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি (মোস্তাফিজুর) সিজার করতে আসা রোগীদের অন্যত্র প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। ফলে তার অবহেলা ও গাফিলতিতে ওইসব মূল্যবান ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে এবং রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় এখানে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। এতে কিছু ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরকারি নিয়মানুযায়ী শীঘ্রই নষ্ট করা হবে।
এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ পীযুষ চন্দ্র সূত্রধর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এতে চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।