মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হাফিজ উদ্দিন (৩০) এর বিরুদ্ধে শ্যালিকা কে গলায় রশি দিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার(৩০মে)ভিকটিম বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুলাভাই হাফিজের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত হাফিজ উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর লঙ্গুলিয়া গ্রামের ফেলু মিয়ার ছেলে। সে এক কন্যা সন্তানের জনক।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, হাফিজ তার স্ত্রীর ছোট বোন শ্যালিকা কে বিভিন্ন সময় উত্যাক্ত করতো। শ্যালিকার বিয়ের প্রস্তাব আসলে প্রেমের সম্পর্ক দেখিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দিত। এ নিয়ে গ্রাম্য শালিসিতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে হাফিজকে চর থাপ্পর দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। এর পরও সে সুযোগ পেলে শ্যালিকা কে কু প্রস্তাব দিতে থাকে। গত শুক্রবার (২৯মে)দুপুরের দিকে ভিকটিম নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকে।
এ সুযোগে হাফিজ ঘরে ঢুকে রশি দিয়ে শ্যালিকার গলায় বেধে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমের বড় বোন তার স্বামী হাফিজ কে খুঁজতে গিয়ে পাশ্ববর্তী বাবার বাড়িতে গিয়ে বোনকে এ অবস্তা থেকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে হাফিজের মা হাবেজা বেগম জানান, বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজন সালিশ বৈঠক বসে মিমাংসার কথা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান আলী জানান,ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।