রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর যাত্রী ছাউনিতে মারা যায় এক বৃদ্ধা। স্থানীয়দের ধারণা, তিনি করোনায় আক্রান্ত।
এতে করে মরদেহটি পড়ে ছিল। বিকেল গড়িয়ে রাত হয়। পরে পুলিশের উদ্যোগে গভীর রাতে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে সেই বৃদ্ধার। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বসন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন ঈদগাহ ময়দানে জানাজা নামাজ শেষে ঈদগাহ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে রাত ১ টার দিকে দাফন করা হয়।
এ সময় সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম, সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হেমায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনসহ এলাকার ২৫-৩০ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই নারীর লাশের নমুনা সংগ্রহ করেন জেলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নন্দ দুলাল সরকার।
এ বিষয় বসন্তপুর ইউনিয়নের ( ইউপি) এস্কেন্দার আলী খান বলেন, ৪-৫ দিন আগে যাত্রী ছাউনিতে আসে ওই নারী। তার আচরণ পাগলের মতো। সারাদিন যাত্রী চাউনিতে থাকতেন। মাঝে মধ্যে খিস্তিখেউড় করতেন। দোকান বা যাত্রীরা কেউ বিস্কুট বা পাউরুটি দিলে খেত। শনিবার বিকেলের কোনো এক সময়ে তিনি মারা গেছেন। পাশের দোকানদার আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাই। পাশাপাশি একজন গ্রাম পুলিশ নিয়ে মরদেহ পাহারা দেই। করোনা ভাইরাসে ওই নারীর মৃত্যু হতে পারে ধারনা করে লাশটির কাছে যাচ্ছিল না কেউ। খবর পেয়ে পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জানাজা নামাজ ও দাফন করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এক পাগল মারা গেছে এমন তথ্য জানতে পেরে সরেজমিনে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে রাতেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তার লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে বেলগাছি মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আব্আদুল্গেলাহ বলেছিলেন এমন কোন ঘটনা হলে তাকে জানানোর জন্য। তিনি এসে জানাযা সম্পন্ন করেন।