বয়স্ক নাগরিকদের অপমানের অভিযোগে যশোরের মণিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম সাইয়েমা হাসানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টার সময় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আরিফ। এ ছাড়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, আহসানউল্লাহ শরিফী।
পরে ওই নারীকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনসচিব শেখ ইউসুফ হারুন। বিষয়টি নিশ্চিত করে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে লাঞ্ছিতদের বাড়ি গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে ইউএনওকে (মো, আহসানউল্লাহ শরিফী) নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রশাসনসচিব।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে যশোরের মণিরামপুুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিনাটোলা বাজারে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন প্রথমে দুই বৃদ্ধ। এর মধ্যে একজন বাইসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। অপরজন রাস্তার পাশে বসে কাঁচা তরকারি বিক্রি করছিলেন। তাদের মুখে মাস্ক ছিল না।
এ সময় পুলিশ ওই দুই বৃদ্ধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে সাইয়েমা হাসান শাস্তি হিসেবে তাদের কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। শুধু তাই নয়, এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার মোবাইল ফোনে এ চিত্র ধারণ করেন। এছাড়া পরবর্তীতে অপর এক ভ্যানচলককে অনুরূপভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। সেই ছবি নিজ মোবাইলে ধারণের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান।
জানা গেছে, বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে পাস করেছেন। কিছুদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বাড়ি রাজশাহীতে।
want Justic….
I want
leave him from her duty….
&
Say sorry to this old & poor people..