মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সমগ্র পৃথিবী আজ স্তম্ভিত। ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন চিকিৎসাই এখনও আবিস্কার হয়নি, করোনা আক্রান্তের সাথে সমাজ যখন বিরূপ আচরণ করছে, গুজব ছড়িয়ে পড়ছে, জনগণ না বোঝার কারণে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইন মানছেন না, মৃতের সৎকারেও কেউ এগিয়ে আসছেনা।
এমনি কঠিন পরিস্থিতিতে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ. ন. ম. আবুজর গিফারী করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বেচ্ছাসেবক এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং এ সংক্রান্তে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ (এনজিও) এর স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এর পরিচালক লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ডাঃ মোজাহেদুল হক এর সাথে স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। উভয়ের আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে হাসপাতালের কনসালট্যান্ট, ডাক্তার ও ইনস্ট্রাক্টরগণ ত্বাত্তিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। করোনা ভাইরাস পরিচিতি, ইতিহাস, আক্রান্ত রোগীর সংজ্ঞা, লক্ষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ, রোগী চিহ্নিত করণ, কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেশন, সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়, হাত ধোয়ার পদ্ধতি, পিপিই পরিধান ও ব্যবহার, পরিবেশ জীবাণূ মুক্তকরণ, করোনার প্রভাব থেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখার উপায়, শিশুকে মানসিক চাপমুক্ত রাখতে করণীয়, ঘরে রোগীর পরিচর্যা, গর্ভবতী মা ও শিশুর পরিচর্যা, সামাজিক কুসংস্কার, মৃতদেহ দাফন ও সৎকার ইত্যাদি বিষয়ে সময় উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
গত ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল ১ম ব্যাচে মোট ১১ (এগার) জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২ মে শুরু হয়ে আজ ৪ মে ২০২০ইং দ্বিতীয় ব্যাচের মোট ১৬ (ষোল) জন স্বেচ্ছাসেবীর তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে ১ম ব্যাচের মতই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীকে সুরক্ষা সামগ্রীর সেট প্রদান করা হয়। আগামী সপ্তাহে তৃতীয় ব্যাচে আরও ১৫ (পনের) জন স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।