শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাংবাদিক বাংলার কাগজ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ করেন পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্দনা চাম্বুগং।
২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। বন্দনা চাম্বুগং তার বক্তব্যে বলেন- আমার স্বামী রিপন চিরান পোড়াগাঁও ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার। আমার স্বামী নিয়ম মেনে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে নিয়ম মেনে চাল বিক্রি করেন।স্থানীয় প্রেসক্লাবে ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে নিরপক্ষেভাবে পুনঃতদন্তের দাবি করেন ডিলার রিপন চিরান। এই চাল বিক্রির খবর পেয়ে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনির আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করেছিল।
কিন্ত আমি আর আমার স্বামী কোন অন্যায় করিনাই তাই টাকা দেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠেনা। তাই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আজাদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগসাজশে বানোয়াট অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করেছে। আমি এই হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করবো। তার আয়ের উৎস কি মানুষের কাছে তুলে ধরবো।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, রিপন চিরানের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা দরে চাল বিতরণে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে কারও কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, বন্দনা চাম্বুগং একজন সৎ ও সাহসী মানুষ। তিনি ক্ষুদ্র নৃ গেষ্টির একজন সদস্য। বর্তমানে পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। দুখজনক বিষয় হলো বন্দনাকে হেয়প্রতিপ্নন করতে একজন ইউপি চেয়ারম্যান এবং একজন হলুদ সাংবাদিক যোগসাজশে বন্দনাকে জড়িয়ে মিথ্যা খবর করেছেন ও বানোয়াট ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
এই হলুদ সাংবাদিকের আয়ের উৎস কি? এক সময় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এখন সাংবাদিকতার তকমা গায়ে লাগিয়ে পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিকে কলঙ্ক দিতে উঠে পরে লেগেছে। জনগন এর বিচার করবে বলে জানান তিনি।