দ্বিতীয় ধাপে সাভার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার। ভোটারদের মন জয়ে প্রার্থীরা শেষ দিনের মতো ভোট প্রার্থনা করছেন। ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা।
আজ রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ থাকার বিধান রয়েছে।
আগামী ১৬ জানুয়ারী শনিবার সাভার পৌরসভায় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাভার পৌরসভায় সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে সাভার পৌরসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সাভার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অস্থায়ী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে শুক্রবার সকাল থেকে গোটাদিন নির্বাচনের সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তাদের নির্বাচনের সরঞ্জাম গ্রহণ করে কেন্দ্রের প্রস্তুতি নিবেন। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে সাভার পৌরসভায় ৬ প্লাটুন (২৪০ জন) বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।ভোটের পর দিন পর্যন্ত বিজিবি সাভার পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও বিপুল সংখ্যক আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
সাভার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র হাজী আব্দুল গনি, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র আলহাজ্ব রেফাত উল্লাহ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় নির্বাচন হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার সাভার পৌরসভা নির্বাচনে ৫২ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এব্যাপারে ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ মুনীর হোসাইন খান বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে, খারাপ কোনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এটি আরও ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি নির্বাচনী এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কথাও বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৬ জানুয়ারী শনিবার সাভার পৌরসভা নির্বাচনে ৮৪ টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
অন্যদিকে নির্বাচনের তিনটি পর্ব থাকে—ভোট গ্রহণ-পূর্ব, ভোট গ্রহণ ও ভোট গ্রহণ-পরবর্তী। যেকোনো নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে তিন পর্বেই মাঠ সমতল রাখা প্রয়োজন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট গ্রহণ পর্বে ভোট কারচুপি বা জালিয়াতি ঠেকাতে প্রতিটি বুথে প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট থাকা আবশ্যক। যদিও সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্রে কেবল সরকারদলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টদের দেখা যায়, অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
এ অবস্থায় নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়। এ নিয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এন্তার অভিযোগ থাকলেও নির্বাচন কমিশন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ ধরনের মুখস্থ কথা বলে থাকেন।