কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার অধীনে নারায়নপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন টি চর নারায়নপুর নামে পরিচিত।
সড়কপথে নেই যাতায়াত ব্যবস্থা তাদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম নৌকা। এই অধমের চোখ দিয়ে দেখা নারায়ণপুর ইউনিয়ন বাসী অনেক বন্ধুসুলভ। হাজার কষ্টের মাঝে মিলেমিশে তাদের বসবাস।
চারদিক নদীবেষ্টিত এ ইউনিয়ন দেখতে একটি দ্বীপের মতো। চারিদিকে থৈ থৈ পানি। জমির আইল কিংবা নদীর তীরে তীরে এঁকেবেঁকে তাদের পথ চলা। তারা যে ফসলাদি জন্মায় তাদের মধ্যে ডাল, গম, ভুট্টা, ইক্ষু, আলু, তিল, বাদাম অন্যতম।
এছাড়াও ধান, পাট, বেগুন, কুমড়া, লাউ সহ নানান প্রজাতির সবজি। যাতে নেই কোন ভেজাল আর নেই কোন ফরমালিন। মাছের কথা কি আর বলি-নানান প্রজাতির মাছ তাদের নিত্যদিনের খাবারের সঙ্গী এটাও ঠিক সেই সবজির মতো যাতে নেই কোন ফরমালিন।
ইউনিয়ন টির চতুর্দিকে বড় বড় নদী থাকায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করা প্রায় অসম্ভব। এতেও নেই তাদের কোনো অভিযোগ। কারণ সেখানে নাম-না-জানা একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান দিয়েছে সেখানে একটি সৌর প্যানেল যার দ্বারা প্রায় অধিকাংশ এলাকা এই সৌর বিদ্যুতের আওতাধীন। এতে আমাদের মত নেই তাদের লোডশেডিং এর মত সমস্যা। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় বলতে হয় সেখানে নেই তেমন কোন শিক্ষিত সমাজ যারা নতুনদের মাঝে ফুটাবে ঊষার আলো। আছে হয়তো কয়েকটি প্রাইমারি স্কুল এবং দুই এক টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কিন্তু তাতে নেই কোন লেখা পড়ার মতো ভালো পরিবেশ।
সম্প্রতি আমার দেখা পি এস সি পরীক্ষার কথা একটু বলতে চাই-স্কুলটির নাম দেখলাম নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই প্রাইমারি স্কুলটি ছিল পিএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভালো করে এদিক সেদিক নজর করিয়ে দেখেছিলাম সেখানে নেই কোন প্রশাসনের পুলিশ। তবে একজন চৌকিদারকে দেখেছিলাম মাত্র।
এখন আসি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দিকে, যার নাম আমি দিয়েছি ফল হিন বৃক্ষ। ইউনিয়নের রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিন্তু নেই এর কার্যাদি। এতে বসেনা কোন ডাক্তার। শাহা আলম নামের এক ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি সেখানে আসে না কোন ডাক্তার কিন্তু মাঝে মাঝে নাকি দেখা মেলে দুই-একজন কর্মী। তাদের কাজ ওষুধ বিতরণ করা। এবং তারা জ্বর মাথা ব্যথা সর্দি কাশি ব্যথা বমি পেট ফাঁপা ইত্যাদি সহ প্রত্যেকটা রোগের ঔষধ হিসেবে দেন প্যারাসিটামল, আয়রন, সাথে হয়তো আর দু-একটা ট্যাবলেট।হাত দেখে ভালো পরামর্শ কিংবা চিকিৎসা দেয়ার মত নেই কোনো অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে ইউনিয়ন বাসী।
এছাড়া কেউ যদি গুরুতর আহত হয় কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়ে এতে করে তাদের থাকে না কোন উপায়। ইউনিয়নে চিকিৎসার ভালো কোন ব্যবস্থা না থাকায় তাদের যেতে হয় নাগেশ্বরী কিংবা কুড়িগ্রাম।
এজন্য তাদেরকে পাড়ি দিতে হয় অনেকটা পথ সে পথ নদীপথ। আবার নদী পথ থেকে যানবাহন পাওয়ার জন্য পাড়ি দিতে হয় উত্তপ্ত বালুচর।এই দুরবস্থা পোহাতে ইউনিয়ন বাসীর একটাই চাওয়া একটাই দাবি তাদের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যাতে সঠিকভাবে এর কার্যাদি সম্পাদন করে।